মোঃ রেজাউল করিম, ঈদগাঁও, কক্সবাজার ::
ঈদগাঁও বাজারের প্রধান কাপড়ের গলিতে নির্মাণ সামগ্রী রেখে দ্বিতল ভবনের ছাদ ঢালাইয়ের কারণে বাজারবাসীকে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। দুয়েকদিন যাবত চলা এ কাজ নিয়ে বাজারে আগত লোকজনকে অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। বাজারে উপযুক্ত কোন কর্তৃপক্ষ না থাকায় এভাবে প্রায় সময় জন চলাচলের পথ বন্ধ করে ভবন নির্মাণের কাজ চলতে থাকে। যেন তাদের নিবারণ করার কেউ নেই। বাজারবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, বাজারের সুপ্রাচীন প্রধান কাপড়ের গলিটি উভয়দিকে অভিজাত দোকানপাট দ্বারা পরিবেষ্টিত। কেন্দ্রীয় মসজিদের উত্তর গেইট থেকে মরিচ ও তরকারি বাজার গিয়ে এ গলি শেষ হয়েছে। উক্ত গলিতে প্রকাশ্য দিনের বেলায় প্রচুর নির্মাণ সামগ্রী তথা কংকর, বালি, সিমেন্ট রেখে গত কয়েকদিন যাবত স্থানীয় বিতর্কিত ও বিরোধীয় জমিতে দ্বিতীয় তলার ছাদ ঢালাইয়ের কাজ চালান ইসলামাবাদ ইউনিয়নের পাঁহাশিয়াখালী মোকাররমা নামের এক মহিলা। গলিতে মজুদকৃত প্রচুর নির্মাণ সামগ্রীর কারণে বাজারবাসী ও সর্বসাধারণকে পোহাতে হয়েছে নানা বিড়ম্বনা। পাশর্^বর্তী ব্যবসায়ী ও বাজারবাসীদের মতে, দিনের পরিবর্তে রাতের বেলায় কাজ করলে এভাবে জন ভোগান্তি হত না। এখন কেউই জনস্বার্থের কথা বিবেচনা করছেন না। যে যার ফায়দা লুটতে ব্যস্ত। যার নজির উল্লেখিত নির্মাণ সামগ্রী মজুদ রাখা। মালেশিয়া প্রত্যাগত ফারুক আহমদ, বাজারের ব্যবসায়ী হাসান তারেক ও রেজাউল করিমসহ বিভিন্নজনের অভিযোগ, বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা পরিষদ ক্রিয়াশীল থাকতেও কিভাবে প্রকাশ্য জন চলাচলের সড়কে এভাবে দিনকে দিন নির্মাণ কাজ চালানো হয়। তাহলে কি এ বাজার অভিভাবক শূণ্য? বাজারে নেই কি কোন কর্তৃপক্ষ? আরো দেখা গেছে, প্রধান গলির উভয় পাশের্^ উল্লেখযোগ্য ও অভিজাত দোকান পাটের মধ্যে রয়েছে শাড়ি বাজার, ইউনুছ শপিং মল, স্টারপ্লাস টেইলার্স, সৌদিয়া স্বর্ণ বিতান, ড্রেসকিং টেইলার্স, সৌখিন বস্ত্র বিতান, রূপম টেইলার্স, সানা ফ্যাশন, সৌখিন গার্মেন্টস, নাবিল ফ্যাশন প্রভৃতি। দিনভর নির্মাণ কাজ চালানোর কারণে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের দৈনন্দিন ব্যবসার যেমন ক্ষতি হয়েছে তেমনি উক্ত গলি দিয়ে চলাচলরত লোকজনকেও বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। এ ব্যাপারে বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা পরিষদ সিরাজুল হকের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট মহিলাকে যত দ্রুত সম্ভব নির্মাণ সামগ্রী সরিয়ে নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এদিকে এ রিপোর্ট লিখার একটু আগে উক্ত সড়কে গিয়ে কোন নির্মাণ সামগ্রী দেখতে পাননি এ প্রতিবেদক। গলি স্বাভাবিক হওয়ায় লোকজন স্বাচ্ছন্দে চলাচল করছেন। চলছে ছোটখাট যানবাহনও। উল্লেখ্য, এর আগেও বাজারের বিভিন্ন পয়েন্টে প্রকাশ্য সড়কে দিনের বেলায় নির্মাণ সামগ্রী রেখে প্রচুর সংখ্যক শ্রমিক দিয়ে ব্যক্তিগত ভবন নির্মাণের কাজ চালাতে দেখা গেছে অনেককে।
পাঠকের মতামত: